মাদক বিরোধী কার্যক্রম

আমরা একটি বিশ্বব্যাপী অলাভজনক সংস্থা যা পুরো বিশ্বজুড়ে ভাল কারণ এবং ইতিবাচক পরিবর্তনগুলি সমর্থন করে।
This image for Image Layouts addon

মাদকাসক্তি সম্পর্কে

মাদকাসক্তরা পরিবার ও সমাজের বোঝা। মাদকের আসক্তি এবং মাদকের অপব্যবহার, মনের অবস্থার পরিবর্তন করতে কোনও রাসায়নিক পদার্থের দীর্ঘস্থায়ী বা অভ্যাসগত ব্যবহার। সুতরাং, অর্থনীতি, সমাজ, পরিবারে মাদকাসক্তির প্রচুর প্রভাব রয়েছে। মাদকাসক্তি ব্যক্তি, শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে।

উন্নত মানুষ হওয়ার জন্য আমাদের এ যাত্রার সাথে অংশগ্রহণের জন্য সবাই আমন্ত্রিত

আমাদের ছবির গ্যালারী

মাদকাসক্ত

বাংলাদেশ তৃতীয় বিশ্বের একটি দরিদ্র দেশ। শিক্ষার অনগ্রসরতা ও দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধি এর অন্যতম কারন। আর বর্তমান সময়ে এর সাথে যোগ হয়েছে একটি নতুন শব্দ “মাদক”। এই ব্যাধিতে আক্রান্ত আজ দেশের লক্ষ লক্ষ যুবক। পরিবার প্রধান থেকে শুরু করে রাষষ্ট্রনায়ক সকলেই আজ বিস্মিত হতবাক্। থমকে গেছে যুব সমাজের চলার গতি। আর তাই মাদক সেবন বন্ধে সরকারের পাশাপাশি দেশের অন্যতম সামাজিক সংগঠন “পাথওয়ে” মাদক নির্মূলে বেশ কিছু কাজ করছে ।

মাদক নির্মূলে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা পাথওয়ে পদক্ষেপের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে যুব সমাজকে নিয়ে সকল স্তরের মানুষের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে পাথওয়ে’র একদল স্বেচ্ছাসেবক কর্মী নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।


মাদকাসক্ত হওয়ার অনেক কারণ থাকে:

তবে একটি মানুষের মাদকাসক্ত হওয়ার বহু কারণ থাকে। বংশগতভাবে মাদক গ্রহণের প্রবণতা থাকতে পারে। এ ছাড়া পারিপার্শ্বিক কারণ, শৈশবে তার বিকাশ কেমন হয়েছে, সামাজিক অবস্থানটি কী রকম। কেউ হতাশা থেকে বা কৌতূহলবশত মাদক গ্রহণ করতে গিয়ে আসক্ত হয়। বর্তমান সরকার মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে। মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্ছার হয়েছে সমাজও।


মাদকাসক্তি হলে চিন্তা, ব্যবহার ও আচরণে পরিবর্তন হয়। অনেকে মাদক ব্যবহার করে কিন্তু আসক্ত হন না। মানুষ কীভাবে মাদকাসক্ত হয়, মাদক ব্যবহার করতে করতে যখন মস্তিষ্কের জৈব রাসায়নিক ও স্নায়ুজনিত রাসায়নিক পরিবর্তন হয়, তখন মাদকের ইচ্ছাকৃত ব্যবহারটা বাধ্যগত ব্যবহারে পরিণত হয়। অর্থাৎ একটি মাদক নির্দিষ্ট  পরিমানে না নিলে যখন শারীরিক বা মানসিক প্রতিক্রিয়া শুরু হয়, ঠিক তখন মস্তিষ্ক বাধ্য করে মাদকটি গ্রহণ করতে। এমন অনেকে আছেন যাঁরা চান না মাদক গ্রহণ করতে, কিন্তু তাঁদের মস্তিষ্ক বাধ্য করে মাদকটি নিতে। বাধ্যগত ব্যবহার শুরু হলে মাদক সেবনের মাত্রাটিও বাড়তে থাকে। এর সঙ্গে কিছু টাকা পয়সার বিষয়ও জড়িত। সেবনের মাত্রা যত বাড়বে, মাদকের পেছনে খরচের পরিমাণও বাড়তে থাকবে। তাই প্রথম দিকে পরিবারের সদস্যরা বুঝতে না পারলেও পরে বুঝে যান তাই আপনার সান্তনের প্রতি খেয়ালরাখায় আপনারি বড় ভ‚মিকা পালন করতে হবে।


অনেক মা-বাবা আছেন যাঁরা বুঝতে পারেন যে তাঁর সন্তান মাদক গ্রহণ করছেন কিন্তু সেটি তাঁরা ধামাচাপা দিয়ে রাখেন। এমনটি না করে যদি আগে থেকে চিকিৎসার ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তাহলে রিহ্যাবে যাওয়ার প্রয়োজন হয় না। রিহ্যাবে যাওয়ার প্রয়োজন তখনই পড়ে, যখন কেউ মাদকে আসক্ত বা নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। রিহ্যাব হচ্ছে মাদকাসক্তির চিকিৎসার কেন্দ্র। এই চিকিৎসার প্রথম ধাপটি হচ্ছে ডিটক্সিফিকেশন। এটি মাদক গ্রহণে শরীরের যে ক্ষতি হয়, সেটি সারিয়ে তোলার এবং এটি থেকে দূরে রাখার একটি প্রক্রিয়া। তাই আসুন কোন কিছু গোপন না করে শুরু থেকেই সন্তানের প্রতি ভালোবাসার আবরনে আগলে রাখি। সন্তানকে এসমন ভাবে বুঝাতে হবে,  এবং ভবিষ্যতে মাদক গ্রহণ না করার প্রেরণ দেয়া। পরিবারের সদস্যদের অবশ্যই রোগীর প্রতি অনেক বেশি সহানুভূতিশীল হতে হবেই। এর কোনো বিকল্প নেই।


মাদকাসক্তির অন্যতম কারণ কৌতূহল। এই কৌতূহল থেকে নিজেকে নিবৃত্ত রাখার একমাত্র উপায় হচ্ছে সচেতনতা। এ জন্য তথ্যভিত্তিক চিন্তা পরিবর্তন করে জ্ঞানভিত্তিক অবস্থানে আসার পরামর্শ । কারণ, জ্ঞানের চোখ যদি খুলে যায়, তাহলে অযাচিত কৌতূহল থাকে না।

 এতে তরুণ বয়সের ছেলেমেয়েরা বেশি কৌতূহলপ্রবণ হয়ে মাদক গ্রহণ করে, সেহেতু অভিভাবকের একটা ভূমিকা রয়েছে এখানে। তবে যেসব পরিবারে মা-বাবা সন্তানদের সঙ্গে সুন্দর সময় কাটান, ছেলেমেয়েদের আত্মসম্মানবোধ বা আত্মবিশ্বাস বেশি থাকে এবং মা-বাবার সঙ্গে খোলাখুলি সম্পর্ক থাকে, তাদের মাদকাসক্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম থাকে।


অনেক মা-বাবা ছেলেমেয়েকে অবাধে টাকা-পয়সা দেন, এতে তারা কৌতূহলবশত মাদক কেনার সুযোগ পায়। এটি থেকে যেমন মা-বাবাকে বিরত থাকতে হবে, এ ছাড়া সন্তানদের সঙ্গে তাঁদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখতে হবে, যাতে তারা যেকোনো ধরনের সমস্যায় পড়লে মা-বাবাকে নির্দ্বিধায় সেটি সম্পর্কে বলতে পারে।


আমাদের দেশের তরুণ প্রজন্মের সিংহভাগই সর্বনাশা মাদকের কবলের শিকার। যার প্রভাব শুধু মাদকসেবী নয় সমাজ ও রাষ্ট্রের অগ্রযাত্রা ব্যহত এবং বিভিন্ন অপরাধ সৃষ্টির প্রধান কারন। তাই বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা পাথওয়ে দেশের এ অগ্রযাত্রাকে আরও এগিয়ে নিতে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।


এই মরণ নেশা মাদকের কবলে কেবল তরুণরা নয় তরুণীদেরও মাদকাসক্তি গ্রাস করে ফেলেছে। যার ফলে বর্তমান সময়ে যুবকের মাদকাসক্তির কারণে সমাজে বিভিন্ন অপরাধ চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, নির্যাতন, পারিবারিক অশান্তি ও খুন খারাপিও ঘটে চলেছে। যা পারিবারিক, সামাজিক ও আইন শৃঙ্খলা অবনতির প্রধান কারণ। বাংলাদেশে মাদকদ্রব্য সহজলভ্যে পাওয়া যাচ্ছে।  এদিকে সরকারকে আরও কঠোরভাবে নজর দিতে হবে পাশাপাশি সামাজকেও এগিয়ে আসতে হবে।


বর্তমানে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় ইয়াবা, এটি সেবনকারীদের মধ্যে অচিরেই ছড়িয়ে পড়ে উচ্ছৃঙ্খলতা ও উন্মাদনা। দীর্ঘদিন এর ব্যবহারের ফলে ঠোঁট, জিহ্বা ও গলায় ক্যান্সার আক্রান্ত হতে পারে তা জানা সত্বেও সেবনকারীরা সেবন করে চলেছে।


মাদকের ভারে কতটা পিছিয়ে পড়ছে বাংলাদেশ, এ মরণ নেশা মাদক দ্রব্য ব্যবহারে থেকে তরুণ প্রজন্মকে বাচাতে হবে।  এবং অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ ও বেকারত্বজনিত হতাশা, মাদকাসক্ত বন্ধু-বান্ধবের সংসর্গ ও প্ররোচনা, প্রেম ভালবাসায় ব্যঘাত, মাদক ব্যবসায়ীদের দ্বারা প্রলোভনের শিকার, কৌতূহল বসত ও সৌখিনতা এগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন প্রজম্মকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।


মরণ নেশা থেকে প্রতিকার পাওয়া যাবে: মাদকদব্যের উৎপাদন আইন দ্বারা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা। মাদকদ্রব্যের ব্যবসা ও ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা। মাদকদ্রব্য পাচার ও চোরাচালানে জড়িত ব্যক্তিদের কঠোর শাস্তির আইন প্রনয়ন ও তা বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা। বেকারত্ব দূরীকরণে বাস্তবায়নে দ্রুত প্রদক্ষেপ গ্রহণ করা। পরিবারের সকল সদস্যের মাদকাসক্ত ব্যক্তির সাথে সুন্দর ও আন্তরিক সম্পর্ক গড়ে তোলা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাদকাসক্তির কুফল সম্পর্কে সচেতনতামূলক প্রোগ্রাম চালু করা ও তা অব্যাহত রাখা । সমাজের সচেতন নাগরিকদের সমন্ন্যয়ে ঘটিত সংগঠন গুলোর ব্যাপক প্রচারণা এবং যথাযথভাবে মাদকসেবীদের কাছে তুলে ধরা।


মাদক শুধু কৈশোর-তারুণ্যে ছোবল বসায়নি। কাজ না পেয়ে হতাশ, শিক্ষা জীবন শেষ করতে পারেনি, চাকরি জীবনে সাফল্য পায়নি, অপরাধের সঙ্গে যুক্ত কিংবা পারিবারিক জটিলতায় আছে, এমন মানুষেরাই শুধু মাদকে দংশিত হচ্ছে না। সাফল্যের চূড়ায় বসে থাকা মানুষেরাও মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে। পারিবারিক বিত্ত আছে, শিক্ষায়, মেধার শীর্ষে থাকার পরেও মাদকের কাছে সঁপে দিচ্ছে নিজেদের। সাফল্যের প্রদর্শন বা বিলাস করতে গিয়েও অনেকে মাদকের কাছে নিজেদের বিলিয়ে দিচ্ছে।

মাদকের সাম্রাজ্য বেড়েছে। আগে এক মহল্লায় এক বা দুই জন পাওয়া যেত যাদের মাদকে আসক্তি আছে। এখন প্রায় ঘরে ঘরে মাদকের অনুপ্রবেশ ঘটেছে চুপিচুপি। সহকর্মীদের কাউকে হয়তো আমরা আসক্ত বলে জানতাম। এখন তারা সংখ্যায় বড় একটি গোষ্ঠীতে পরিণত হয়েছে। পেশাজীবীদের মধ্যে গাড়িচালক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সংবাদকর্মী, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য থেকে শুরুকরে শিক্ষকরাও এখন মাদকের কালো জলে সাঁতার কাটছে। হরণ করে নিয়েছে মাদক তাদের । মাদকের জাল ছিঁড়ে বেরোতে হলে সামজ এবং রাষ্ট্রকে আরও সচেতন হতে হবে।

পাথওয়ে সম্পর্কিত

পাথওয়ে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা দাতব্য, অলাভজনক এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। এর প্রধান কার্যালয় ঢাকার মিরপুরে। বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ অসহায় মানুষের পাশে সর্বদাই পথচলা। প্রধানত পাথওয়ে বাংলাদেশে শিশু, নারী এবং তৃতীয় লিঙ্গ উন্নয়নে নিবেদিত একটি মানবিক সংস্থা। পাথওয়ে এনজিও অ্যাফেয়ার্স ব্যুরো বাংলাদেশ কর্তৃক অনুমোদিত এবং তালিকাভুক্ত। রেজিস্ট্রেশন নম্বর: 0778

অফিস সময় তালিকা

শনিবার     ১০ টা হইতে ৬ টা
রবিবার     ১০ টা হইতে ৬ টা
সোমবার     ১০ টা হইতে ৬ টা
মঙ্গলবার     ১০ টা হইতে ৬ টা
বুধবার     ১০ টা হইতে ৬ টা
বৃহস্পতিবার     ১০ টা হইতে ৬ টা
শুক্রবার     বন্ধ

ছুটির তালিকা

অফিসের ঠিকানা

বাড়ি ০২, রাস্তা ০৬, সেনপাড়া পর্বতা, কাফরুল,
মিরপুর, ঢাকা -১২১৬, বাংলাদেশ
ফোনঃ +৮৮ ০২ ৫৮০৫৩৭৪৩
মোবাইলঃ +৮৮ ০১৩২১ ২৩২৯৮২
ই-মেইলঃ info@pathwaybd.org
ওয়েব: www.pathwaybd.org
ওয়েব: www.ajkerprosongo.com

নিচে উল্লেখিত লিংকে আমাদেরকে অনুস্মরণ করুন

Search