রমজান ২০২৩- পাথওয়ে এর পক্ষ থেকে ইফতার কার্য্যক্রম
রমজান ২০২৩- পাথওয়ে এর পক্ষ থেকে সারা মাসব্যাপী ইফতার প্রোগ্রাম
“পাথওয়ে” দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করে আমরা সবাই যদি আমাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে অসহায় ও দরিদ্র মানুষের কল্যাণে এগিয়ে আসি তাহলেই একদিন ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত শান্তিময় এক মানবিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে।
সিয়াম পালনকারী বা রোজাদারকে ইফতার করানোর ফযিলত অপরিসীম। হাদিসে এর ফজিলত সম্পর্কে উল্লেখ আছে যে,
যায়েদ ইবনে খালেদ জুহানী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি কোন রোজাদারকে ইফতার করাবে, সে (রোজাদারের) সমান নেকীর অধিকারী হবে। আর তাতে রোজাদারের নেকীর কিছুই কমবে না।” (তিরমিযী হাসান সহীহ) [তিরমিযী ৮০৭, ইবনু মাজাহ ১৪৪৬, আহমাদ ২১১৬৮, দারেমী ১৭০২]
রোজাদারদের ইফতার খাওয়ানোর জন্য আপনার সাদাকা, এবং যাকাত "পাথওয়ে"-তে দান করুন। এবং বাংলাদেশ ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ২০২৩ সালের রমজানের সেহরি ও ইফতারের সময় জেনে নিন।
আমাদের পরবর্তীকার্যক্রম
ঢাকা এবং অন্যান্য জেলা সেহরি এবং ইফতারের সময়সূচী ক্যালেন্ডার - রমজান ২০২৩
২০২৩ সালের রমজানের সেহরি এবং ইফতারের সময়সূচী ক্যালেন্ডার - ঢাকা জেলা
সম্ভাব্যঃ ঢাকা জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচী -রমজানের ক্যালেন্ডার ২০২৩ -ইসলামিক ফাউন্ডেশন
আজকের ইফতারের সময় জেনে নিন। সেহরি ও ইফতারের সময়সূচী ক্যালেন্ডার রমজান ২০২৩- ইসলামিক ফাউন্ডেশন
রমজান | দিন | সাহরি / সেহরির সময় | ইফতারের সময় |
---|---|---|---|
০১ | ২৩ মার্চ, ২০২৩ (বৃহস্পতিবার) | ০৫:০০ am | ০৬:১২ pm |
০২ | ২৪ মার্চ, ২০২৩ (শুক্রবার) | ০৪:৫৮ am | ০৬:১৩ pm |
০৩ | ২৫ মার্চ, ২০২৩ (শনিবার) | ০৪:৫৭ am | ০৬:১৩ pm |
০৪ | ২৬ মার্চ, ২০২৩ (রবিবার) | ০৪:৫৬ am | ০৬:১৩ pm |
০৫ | ২৭ মার্চ, ২০২৩ (সোমবার) | ০৪:৫৫ am | ০৬:১৪ pm |
০৬ | ২৮ মার্চ, ২০২৩ (মঙ্গলবার) | ০৪:৫৪ am | ০৬:১৪ pm |
০৭ | ২৯ মার্চ, ২০২৩ (বুধবার) | ০৪:৫৩ am | ০৬:১৪ pm |
০৮ | ৩০ মার্চ, ২০২৩ (বৃহস্পতিবার) | ০৪:৫২ am | ০৬:১৫ pm |
০৯ | ৩১ মার্চ, ২০২৩ (শুক্রবার) | ০৪:৫১ am | ০৬:১৫ pm |
১০ | ০১ এপ্রিল, ২০২৩ (শনিবার) | ০৪:৫০ am | ০৬:১৬ pm |
১১ | ০২ এপ্রিল, ২০২৩ (রবিবার) | ০৪:৪৯ am | ০৬:১৬ pm |
১২ | ০৩ এপ্রিল, ২০২৩ (সোমবার) | 04:48 am | 06:16 pm |
১৩ | ০৪ এপ্রিল, ২০২৩ ( মঙ্গলবার) | ০৪:৪৭ am | ০৬:১৭ pm |
১৪ | ০৫ এপ্রিল, ২০২৩ (বুধবার) | ০৪:৪৬ am | ০৬:১৭ pm |
১৫ | ০৬ এপ্রিল, ২০২৩ (বৃহস্পতিবার) | ০৪:৪৫ am | ০৬:১৮ pm |
১৬ | ০৭ এপ্রিল, ২০২৩ ( শুক্রবার) | ০৪:৪৪ am | ০৬:১৮ pm |
১৭ | ০৮ এপ্রিল, ২০২৩ (শনিবার) | ০৪:৪৩ am | ০৬:১৮ pm |
১৮ | ০৯ এপ্রিল, ২০২৩ (রবিবার) | ০৪:৪২ am | ০৬:১৯ pm |
১৯ | ১০ এপ্রিল, ২০২৩ (সোমবার) | ০৪:৪১ am | ০৬:১৯ pm |
২০ | ১১ এপ্রিল, ২০২৩ (মঙ্গলবার) | ০৪:৪০ am | ০৬:২০ pm |
২১ | ১২ এপ্রিল, ২০২৩ ( বুধবার) | ০৪:৩৯ am | ০৬:২০ pm |
২২ | ১৩ এপ্রিল, ২০২৩ (বৃহস্পতিবার) | ০৪:৩৭ am | ০৬:২০ pm |
২৩ | ১৪ এপ্রিল, ২০২৩ (শুক্রবার) | ০৪:৩৬ am | ০৬:২১ pm |
২৪ | ১৫ এপ্রিল, ২০২৩ (শনিবার) | ০৪:৩৫ am | ০৬:২১ pm |
২৫ | ১৬ এপ্রিল, ২০২৩ ( রবিবার) | ০৪:৩৪ am | ০৬:২২ pm |
২৬ | ১৭ এপ্রিল, ২০২৩ (সোমবার) | ০৪:৩৩ am | ০৬:২২ pm |
২৭ | ১৮ এপ্রিল, ২০২৩ (মঙ্গলবার) | ০৪:৩২ am | ০৬:২৩ pm |
২৮ | ১৯ এপ্রিল, ২০২৩ (বুধবার) | ০৪:৩১ am | ০৬:২৩ pm |
২৯ | ২০ এপ্রিল, ২০২৩ (বৃহস্পতিবার) | ০৪:৩০ am | ০৬:২৩ pm |
৩০ | ২১ এপ্রিল, ২০২৩ (শুক্রবার) | ০৪:২৯ am | ০৬:২৪ pm |
( সকল জেলার সময়সূচি ) জেলা ভিত্তিক সেহরি ও ইফতারের সময়সূচী রমজান ২০২৩
বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষই ইসলাম ধর্মের অনুসারী। এই ইসলাম প্রিয় মানুষেরা ইসলামকে যথাযথ অনুস্মরণের চেষ্টা করে। অনেক মতভেদ থাকার পরও তারা এক আল্লাহরই ইবাদত করে বিশেষ করে ফরজ সিয়াম বা রোজা রাখার ব্যাপারে বাংলার মুসলিমরা খুবই সোচ্চার। আলহামদুলিল্লাহ্। শুওনতে খারাপ শুনাওলেও একথা সত্য যে অনেকেই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে না বা সালাত আদায় করে না কিন্তু তারা কখনো সিয়াম ভঙ্গ করে না। হাজার কষ্ট হলেও তারা একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য রোযা রাখে। বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় বসবাসরত মানুষদের সুবিধার্থে পাথওয়ে রমজান ২০২৩ একটি জেলা ভিত্তিক সেহরি ও ইফতারের সময়সূচী তৈরি করেছে যেখানে রোজা ভাঙ্গার দোয়া সহ প্রত্যেকটি জেলার ইফতার ও সেহরীর শেষ সময় উল্লেখ করা আছে। পাথওয়ের ইফতার প্রোগ্রামে সকল দ্বীনী ভাইকে অংশগ্রহণের জন্য অনূরোধ করা যাচ্ছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ কর্তৃক বানানো সেহরি ও ইফতার এর সময়সূচীকে অনুস্মরণ করে তালিকা করা হয়েছে। কিভাবে ঢাকার ইফতার ও সেহরির সময়ের সাথে কিছু সময় যোগ ও বিয়োগ করে অন্যান্য জেলার সময় বুঝতে হতে তা তালিকাতে উল্লেখ করা হয়েছে। আশা করি ধর্মপ্রাণ মুসলিম ভাই ও বোনদের রমজান ২০২৩ এর সময়সূচীর তালিকা টি উপকারে আসবে ইন শা আল্লাহ।
( সকল জেলার সময়সূচি ) জেলা ভিত্তিক সেহরি ও ইফতারের সময়সূচী ২০২৩- ইসলামিক ফাউন্ডেশন
( সকল জেলার সময়সূচি ) জেলা ভিত্তিক সেহরি ও ইফতারের সময়সূচী ২০২৩
( সকল জেলার সময়সূচি ) জেলা ভিত্তিক সেহরি ও ইফতারের সময়সূচী ২০২৩
হিজরি ১৪৪৪ ( রমজান ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ) সাহরী ও ইফতারীর ক্ষেত্রে ঢাকার সাথে অন্যান্য জেলার সময়ের পার্থক্যঃ
ঢাকার সময় হতে বাড়াতে হবে | ঢাকার সময় হতে কমাতে হবে | ||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|
জেলা | সাহরী | জেলা | ইফতার | জেলা | সাহরী | জেলা | ইফতার |
মানিকগঞ্জ, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, পঞ্চগড়, নীলফামারী,ভোলা | ১ মি. | মাদারীপুর | ১ মি. | নোয়াখালী, শেরপুর, জামালপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নরসিংদী, গাইবান্দা, কক্সবাজার | ১ মি. | শরীয়তপুর, নরসিংদী, বরিশাল, পটুয়াখালী, সুনামগঞ্জ | ১ মি. |
শরীয়তপুর,দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, জয়পুরহাট, ফরিদপুর, মাদারিওপুর, বরিশাল | ২ মি. | মানিকগঞ্জ, ময়মনসিংহ, গোপালগঞ্জ, বাগেরহাট, ফরিদপুর | ২ মি. | চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ফেনী | ২ মি. | চাঁদপুর, বি বাড়িয়া, লক্ষীওপুর, নোয়াখালী | ২ মি. |
নওগাঁ, ঝালকাঠি, গোপালগঞ্জ | ৩ মি. | শেরপুর, খুলনা, টাঙ্গাইল, নড়াইল | ৩ মি. | ময়মনসিংহ, বি-বাড়িয়া, কিশোরগঞ্জ | ৩ মি. | কুমিল্লা, মৌলভীবাজার, ভোলা, হবিগঞ্জ | ৩ মি. |
নাটোর, পাবনা, কুষ্টিয়া,রাজবাড়ী, মাগুরা,পিরোজপুর,বরগুনা,পটুয়াখালি, নড়াইল, বাগেরহাট | ৪ মি. | সিরাজগঞ্জ, জামালপুর,মাগুরা | ৪ মি. | রাঙ্গামাটি,বান্দরবন, নেত্রোকোনা, হবিগঞ্জ | ৪ মি. | ফেনী, সিলেট | ৪ মি. |
রাজশাহী, ঝিনাইদহ,যশোর, খুলনা | ৫ মি. | পাবনা, ঝিনাইদহ, যশোর, সাতক্ষীরা, রাজবাড়ী | ৫ মি. | খাগড়াছড়ি | ৫ মি. | ||
চাঁপাইনবাবগঞ্জ, চুয়াডাঙ্গা | ৬ মি. | চুয়াডাঙ্গা, গাইবান্দা,কুষ্টিয়া,বগুড়া | ৬ মি. | সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার | ৬ মি. | ||
সাতক্ষীরা, মেহেরপুর | ৭ মি. | নাটোর, মেহেরপুর, কুড়িগ্রাম | ৭ মি. | সিলেট | ৭ মি. | খাগড়াছড়ি, চট্টগ্রাম | ৭ মি. |
রাজশাহী, নওগাঁ, রঙ্গপুর, জয়পুরহাট, লালমনিরহাট | ৮ মি. | রাঙ্গামাটি | ৮ মি. | ||||
নীলফামারী, দিনাজপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ | ৯ মি. | বান্দরবন, কক্সবাজার | ৯ মি. | ||||
পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও | ১০ মি. |
পবিত্র রমজান ২০২৩ এর ইফতার ও সেহরীর সময়সূচী - সারা দেশ
সেহরি ও ইফতারের সময়সূচী ২০২৩ | ইফতারের দোয়া - দুআ: (রোজা/ রোযা ভাঙ্গার দুয়া):
ইফতারের দোয়া বাংলা উচ্চারন সহ:
ইফতার শেষে নিম্নের দুআ পঠনীয়,
ذَهَبَ الظَّمَأُ، وَابْتَلَّتِ الْعُرُوقُ، وَثَبَتَ الْأَجْرُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ
উচ্চারণঃ-যাহাবায যামা-উ অবতাল্লাতিল উরুকু অসাবাতাল আজরু ইনশা-আল্লাহ।
অর্থঃ পিপাসা দূরীভূত হল, শিরা-উপশিরা সতেজ হল এবং আল্লাহ চাহেন তো সওয়াব সাব্যস্ত হল।
রেফারেন্সঃ (আবু দাউদ ২/৩০৬ সঃ জামে ৪/২০৯)।
( সকল জেলার সময়সূচি ) জেলা ভিত্তিক সেহরি ও ইফতারের সময়সূচী ২০২৩
সেহরি খাওয়ার শেষ সময় রমজান ২০২৩
মূলত কুরআন সুন্নাহ থেকে আমরা জানতে পারি যে,
প্রতিদিন যেভাবে ইফতারের সময় জানবেনঃ
প্রতিদিন ইফতারের সময় জানতে গুগল এ সার্চ দিন “ সানসেট টুডে ” এবং নির্দিষ্ট এলাকার সময় যেমন ঢাকার সময় জানতে চাইলে সার্চবক্সে “ সানসেট টুডে ঢাকা ” লিখুন তাহলেই আপনি সুর্যাস্তের সঠিক সময়টি পেয়ে যাবেন। তাহলেই আপনি আজকের ইফতারের সময় পেয়ে যাবেন এবং সেই অনুযায়ী ইফতার করে নিতে পারবেন ইন শা আল্লাহ।
এছাড়াও ইফতারে সময়সূচি একটি ক্যালেন্ডার আকারে অর্থাৎ রমজান ২০২৩ এর ক্যালেন্ডার পাথওয়ের পক্ষ থেকে দেওয়া হবে। ঢাকা জেলার এবং ঢাকার বাহিরের সেহরি ও ইফতারের সময়সূচী ২০২৩ - সৌজন্যেঃ পাথওয়ে।
অনেকেই ইফতারের সময়কে আজানের সাথে মিলিয়ে ফেলে। ইফতার মূলত সূর্য ডোবার সাথে সমপৃক্ত , আজানের সাথে নয়।
যে ব্যক্তি রোজাদারকে ইফতার করালো তার সওয়াব কেমন? ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব
যে ব্যক্তি রোযাদারকে ইফতার করালো তার সওয়াব সম্পর্কে হদিসে অনেক ফজিলত বর্ণনা করা আছে।
রমাযান মাসে অন্যতম একটি মহৎ কাজ হল সায়িম বা রোযাদার ব্যক্তিকে ইফতার করানো। রোযাদার আর্থিক অবস্থা কেমন সেতা মূখ্য নয়, সে গরীব হোক অথবা ধনী, বন্ধু হোক অথবা আত্মীয় অথবা দূরের কেউ, অথবা না হোক কিছু খাইয়ে তাকে ইফতার করালে তাতে অনেক বড় উপকার রয়েছে প্রত্যেকের জন্য। যেহেতু ইফতারীর এই খুশীর মুহুর্তে সকলে একত্র হয়ে একে অন্যকে ফলপ্রসূ নসীহত করতে পারে। আর তার ফলে তাদের মধ্যে সৃষ্টি হয় পারস্পরিক সম্প্রীতি, সহানুভূতি, সংহতি ও দয়ার্দ্রতা।
তাছাড়া এতে রয়েছে প্রচুর সওয়াব। যায়দ বিন খালেদ জুহানী (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) বলেন, ‘‘যে ব্যক্তি কোন রোযাদারকে ইফতার করায় সেই ব্যক্তিও ঐ রোযাদারের সমপরিমাণই সওয়াব অর্জন করে। আর এতে ঐ রোযাদারের সওয়াব কিঞ্চিৎ পরিমাণও কম হয়ে যায় না।’’[ (তিরমিযী ৮০৬, নাসাঈ, ইবনে মাজাহ ১৭৪৬, ইবনে খুযাইমাহ, সহীহ, ইবনে হিববান, সহীহ, সহীহ তারগীব, আলবানী ১০৬৫ নং)]
সলফদের অনেকেই রোযা থাকতে নিজের ইফতারী অপরকে দান করতেন। তাঁদের মধ্যে একজন হলেন, আব্দুল্লাহ বিন উমার (রাঃ), দাঊদ ত্বাঈ, মালেক বিন দ্বীনার, আহমাদ বিন হাম্বল, প্রমুখ। আব্দুল্লাহ বিন উমার কিছু এতীম ও মিসকীন ছাড়া একাকী ইফতার করতেন না। আর যদি কোন দিন তিনি জানতে পারতেন যে, তাঁর পরিবার তাদেরকে তাঁর কাছে আসতে বাধা দিয়েছে বা তাদেরকে ফিরিয়ে দিয়েছে, তাহলে সে দিন আর ইফতারই করতেন না!
আবুস সাওয়ার আদাবী বলেন, আদী বংশের কিছু লোক ছিলেন, যাঁরা এই মসজিদে নামায পড়তেন; তাঁদের মধ্যে কেউই কোন খাবার দ্বারা একাকী ইফতার করতেন না। যদি সঙ্গে খাওয়ার লোক পেতেন, তাহলে খেতেন। নচেৎ, তাঁদের ইফতারী নিয়ে মসজিদে এসে লোকেদের সাথে খেতেন এবং লোকেরা তাঁদের সাথে ইফতারী করত।[ (কাইফা নাঈশু রামাযান, আব্দুল্লাহ আস-সালেহ১৫পৃঃ দ্রঃ) ]
ইফতার কার্যক্রমেরে সর্বশেষ আপডেট
সর্বোত্তম মানবিক কাজের জন্য
আমাদের যাত্রায় অংশ নিতে সবাইকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি
মিডিয়া কাভারেজ
ইফতার করা বা রোযা ভাঙ্গার নিয়ম ও সময় সম্পর্কে কিছু কথাঃ
তিনি বলেন, ‘‘লোকেরা ততক্ষণ মঙ্গলে থাকবে, যতক্ষণ তারা (সূর্য ডোবার পরপরপই নামাযের আগে) ইফতার করতে তাড়াতাড়ি করবে।’’[(বুখারী ১৯৫৭, মুসলিম ১০৯৮নং)]
তিনি বলেন, ‘‘দ্বীন ততকাল বিজয়ী থাকবে, যতকাল লোকেরা ইফতার করতে তাড়াতাড়ি করবে। কারণ, ইয়াহুদ ও খ্রিষ্টানরা দেরী করে ইফতার করে।’’[(আবূ দাঊদ, হাকেম, মুস্তাদ্রাক, ইবনে হিববান, সহীহ, সহীহুল জামেইস সাগীর, আলবানী ৭৬৮৯নং)]
বলা বাহুল্য, স্থানীয়ভাবে সূর্যের বৃত্তির সমস্ত অংশটা অদৃশ্য হয়ে (অস্ত) গেলে রোযাদারের উচিৎ, সাথে সাথে সেই সময় ইফতার করা। আর এ সময় নিম্ন আকাশে অবশিষ্ট লাল আভা থাকলেও তা দেখার নয়। যেহেতু মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) বলেন, ‘‘রাত যখন এদিক (পূর্ব গগণ) থেকে আগত হবে, দিন যখন এদিক (পশ্চিম গগণ) থেকে বিদায় নেবে এবং সূর্য যখন অস্ত যাবে, তখন রোযাদার ইফতার করবে।’’[(বুখারী ১৯৪১, ১৯৫৪, মুসলিম ১১০০, ১১০১, আবূ দাঊদ ২৩৫১, ২৩৫২, তিরমিযী, দাঃ)]
অতএব দেখার বিষয় হল সূর্যাস্ত কখন হচ্ছে; আযান নয়। এমন হতে পারে যে আজান সূর্যাস্তের সময়ের সাথে মিল রেখে দেওয়া হলো না তখন? সুতরাং রোযাদার যদি সবচক্ষে দেখে যে, সূর্য ডুবে গেছে কিন্তু মুআযযিন এখনো আযান দেয়নি, তাহলেও তার জন্য ইফতার করা বৈধ।[(আশ্শারহুল মুমতে’ ৬/৪৩৯)
পক্ষান্তরে পূর্বসতর্কতামূলকভাবে মুআযযিনদের দেরী করে আযান দেওয়া বিদআত।[(মু’জামুল বিদা’ ২৬৮পৃঃ)]
সেহরী বা সাহরী খাওয়ার নিয়ম ও শেষ সময়ঃ
মুসলিম উম্মাহর সর্বসম্মতিক্রমে রোযার জন্য সেহরী বা সাহরী খাওয়া মুস্তাহাব এবং যে ব্যক্তি তা ইচ্ছাকৃত খায় না সে গোনাহগার নয়। আর এ কারণেই যদি কেউ ফজরের পর জাগে এবং সেহরী খাওয়ার সময় না পায়, তাহলে তার জন্য জরুরী রোযা রেখে নেওয়া। এতে তার রোযার কোন ক্ষতি হবে না। বরং ক্ষতি হবে তখন, যখন সে কিছু খেতে হয় মনে করে তখনই (ফজরের পর) কিছু খেয়ে ফেলবে। সে ক্ষেত্রে তাকে সারা দিন পানাহার ইত্যাদি থেকে বিরত থাকতে হবে এবং রমাযান পরে সেই দিন কাযা করতে হবে।
সেহরী গ্রহণ করা বা খাওয়া যে উত্তম তা প্রকাশ করার জন্য মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) উম্মতকে বিভিন্ন কথার মাধ্যমে উদ্বুদ্ধ করেছেন। তিনি সেহরীকে বর্কতময় খাদ্য বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘তোমরা সেহরী / সাহরী খাও। কারণ, সেহরীতে / সাহরীতে বরকত আছে।’’[(বুখারী ১৮২৩, মুসলিম ১০৯৫নং)]
‘‘তোমরা সাহরী খেতে অভ্যাসী হও। কারণ, সেহরীই হল বর্কতময় খাদ্য।’’
[(আহমাদ, মুসনাদ, নাসাঈ সহীহুল জামেইস সাগীর, আলবানী ৪০৮১নং)]
ইরবায বিন সারিয়াহ বলেন, একদা রমাযানে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) আমাকে সাহরী খেতে ডাকলেন; বললেন, ‘‘বর্কতময় খানার দিকে এসো।’’[(আহমাদ, মুসনাদ, আবূ দাঊদ, নাসাঈ, ইবনে হিববান, সহীহ, ইবনে খুযাইমাহ, সহীহ, সহীহুল জামেইস সাগীর, আলবানী ৭০৪৩নং)]
সেহরীতে বর্কত থাকার মানে হল, সাহরী রোজাদারকে সুস্থ ও সবল রাখে এবং রোযার কষ্ট তার জন্য হালকা করে। আর এটা হল শারীরিক বর্কত। পক্ষান্তরে শরয়ী বর্কত হল, রসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম)-এর আদেশ পালন এবং তাঁর অনুসরণ।
মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) এই সেহরীর গুরুত্ব বর্ণনা করতে গিয়ে তা দিয়ে মুসলিম ও আহলে কিতাব (ইয়াহুদী ও খ্রিষ্টানদের) রোযার মাঝে পার্থক্য চিহিÁত করেছেন। তিনি অন্যান্য ব্যাপারে তাদের বিরোধিতা করার মত তাতেও বিরোধিতা করতে আমাদেরকে আদেশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের রোযা ও আহলে কিতাবের রোযার মাঝে পার্থক্য হল সেহরী খাওয়া।’’[(মুসলিম ১০৯৬, আবূ দাঊদ ২৩৪৩, ফাসিঃ মুসনিদ ৯৮পৃঃ)]