দেশের সড়ক দুর্ঘটনার ভয়াবহ পরিস্থিতিকে অনুধাবন করে পাথওয়ে একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে “পাথওয়ে অটোমোবাইল ড্রাইভিং স্কুল” নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলে। বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা পাথওয়ে -এর পরিচালক মহোদয়ের সরাসরি তত্ত্বাবধানে পরিচালিত পাথওয়ে অটোমোবাইল ড্রাইভিং স্কুল একটি আন্তর্জাতিকমানের ড্রাইভিং স্কুল হিসেবে অল্প সময়ের মধ্যেই দেশে অত্যন্ত সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। ইতিমধ্যে দেশের একাধিক গণমাধ্যমে এই প্রতিষ্ঠানটির সাফল্য নিয়ে প্রতিবেদন প্রচার করেছে। এখানে অতি অল্প ফি’তে ড্রাইভিং ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে।
এছাড়া অসহায় গরিবদেরকে বিনামূল্যে ড্রাইভিং ট্রেনিং প্রদান করার পাশাপাশি লাইসেন্স ফি’ও প্রদান করা হচ্ছে। এখানে উন্নত মডেলের গাড়ী দ্বারা হাতে-কলমে প্রশিক্ষন প্রদান করার পাশাপাশি আমরা তাত্ত্বিক ক্লাসের মাধ্যমে গাড়ী চালনার প্রয়োজনীয় বিষয়াদি সম্পর্কে জ্ঞান দান করা হচ্ছে। প্রতি বৎসর এখান হতে অসংখ্য চালক প্রশিক্ষিত হয়ে দেশে-বিদেশে সুনামের সহিত কাজ করে যাচ্ছে। পাথওয়ে একটি বিষয় লক্ষ্য করেছে যে, আমাদের দেশের নারী শ্রমিকরা বিদেশে গৃহকর্মী হিসাবে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের শারিরীক ও মানষিক নির্যাতনের স্বীকার হচ্ছে এবং বিদেশে অনেকেই মানবেতর জীবনযাপন করছে। তাই পাথওয়ে দেশের এই সকল শ্রমজীবি নারীদেরকে অটোমোবাইল চালক হিসাবে গড়ে তুলে দেশ-বিদেশে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করিলে অধিক আয়ের পাশাপাশি তারা নির্যাতন হতে মুক্তি পাবে।
এছাড়া আমাদের দেশের তৃতীয় লিঙ্গরা সাধারণ বিভিন্ন দোকান ও পথচারীদের নিকট হতে টাকা তুলে জীবনধারণ করে। অনেক সময় দেখা যায় এই টাকা তোলা নিয়ে তাদের সাথে সাধারণ মানুষদের অনাকাংখিত ঘটনার সৃষ্টি হয়। এছাড়া তাদেরকে অটোমোবাইল ড্রাইভিং চালনার পাশাপাশি তাদেরকে সমাজের মূল শ্রোতধারায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে পাথওয়ে তাদেরকে বিনামূল্যে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে যাচ্ছে। পাথওয়ে ড্রাইভিং ট্রেনিং স্কুল মূলত: কোন মুনাফা অর্জনকারী প্রতিষ্ঠান নয় বরং এটা একটা সামাজিক দায়বদ্ধতা হতে একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। পাথওয়ে আজ বাংলাদেশের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মুক্তির ঠিকানায় পরিণত হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে প্রতিষ্ঠানটি সামাজিক দায়বদ্ধতা ও মানবতার উজ্জল দৃষ্টান্ত স্থান করে যাচ্ছে।