পাথওয়ে ড্রাইভিং ট্রেনিং স্কুল অত্যান্ত সুনামের সাথে দীর্ঘদিন ধরে হাতে কলমে প্রশিক্ষন দিয়ে বাংলাদেশের অসংখ্য বেকার ও কর্মজীবি নারী/পুরুষদের প্রশিক্ষন দিয়ে সুনাম কুড়িয়েছে। অন্যদিকে বেকারত্ত্ব দূরীকরনে অগ্রনী ভূমিকা রাখছে। ঢাকা মিরপুরে অবস্থিত এটি, মিরপুর বেস্ট ড্রাইভিং স্কুল হিসেবে পরিচিত। বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির যুগে মানুষ ঘরে বসে সারা বিশ্বময় কেনা-বেচার হাঁট বসিয়েছে। কিন্তু এসকল পণ্য আনা-নেওয়ার কাজটি একজন চালককেই করতে হয়। তাই দক্ষ চালকের কোন বিকল্প হতে পারে না। আর এজন্য সরকারী বেসরকারী পর্যায়ে জনবল নিয়োগের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। তাই আমরা দক্ষ চালক তৈরিতে বেস্ট ড্রাইভিং স্কুল ইন ঢাকা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়া ভালো শিক্ষা পাওয়া যায় না যা আমরা সকলেই বিশ্বাস করি। পাথওয়ে
ড্রাইভিং ট্রেনিং স্কুল থেকে সঠিক নিয়মে সুদক্ষ প্রশিক্ষক দিয়ে প্রাকটিক্যাল ও থিওরি ক্লাসের মাধ্যমে দক্ষ চালক গড়ে তোলা হয়।
ড্রাইভিং এর বেসিক কোর্স ও পেশাদার চালকের জন্য বেসিক রেগুলার কোর্স এবং কর্মজীবি নারী/পুরুষদের বিশেষ কোর্স এর ব্যবস্থা আছে। আমাদের প্রশিক্ষক সেন্টার থেকে ড্রাইভিং প্রশিক্ষন গ্রহন করে অসংখ্য বেকার নারী/পুরুশ দেশে এবং বিদেশে পেশাদার চালক হিসেবে প্রতিযোগীতার লড়াইয়ে নিজেকে যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে সরকারী-বেসরকারী, ব্যাংক, বীমা ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে দক্ষ চালক হিসেবে কর্মরত আছে। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য রাষ্ট্র সড়ক দূর্ঘটনা মহামারী আকার ধারন করছে। আর এই মহামারী থেকে পরিত্রান পাওয়ার একমাত্র উপায় হলো সড়ক ব্যবহারের সঠিক নিয়ম মেনে গাড়ী চালানো। আর এটা সম্ভব হবে কোন চালক যদি ভালো কোন ড্রাইভিং প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষন নিয়ে দক্ষতা যাচাই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে গাড়ী চালায়। পাথওয়ে ড্রাইভিং ট্রেনিং স্কুল একজন দক্ষ চালকের যেসকল গুণাবলি থাকা খুব জরুরী সেইগুলির উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে প্রশিক্ষন প্রদান করে। ইদানিং কালে পুরুষদের পাশাপাশি কর্মজীবি নারীদের সংখ্যা বেড়ে চলছে। পাথওয়ে ড্রাইভিং ট্রেনিং স্কুল পেশাদার ও অপেশাদার উভয় শ্রেণির ক্ষেত্রে বিভিন্ন মেয়াদি প্রশিক্ষন প্রদান করে থাকেন। সেই সাথে কর্মজীবি নারীদের প্রশিক্ষনের ক্ষেত্রে সম্পূর্ন আলাদা ভাবে নারী প্রশিক্ষক দিয়ে ড্রাইভিং শেখনো হয়। নারীদের জন্য আলাদা প্রশিক্ষন কোর্স চালু আছে। প্রশিক্ষনকালীন সময়ে তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়। নারী কর্মজীবি অনেকেই গণপরিবহন বাদ দিয়ে নিজেরা নিজেদের গাড়ী ব্যবহার করে প্রতিনিয়ত কর্মস্থলে আসা-যাওয়া করে। তাই সেসকল নারী কর্মজীবিদের সড়ক ব্যবহারে সঠিক নিয়ম পালন ধারনা পেতে ও গাড়ী চালানো দক্ষতা অর্জন করতে আমরা বিশেষ প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করেছি। অন্যদিকে বেকার শিক্ষিত নারীদের পেশাদার চালক হিসেবে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য রয়েছে সু-ব্যবস্থা। কেননা ইতিমধ্যে বাংলাদেশের সরকারী-বেসরকারী বিভিন্ন কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানে আমাদের প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষন নিয়ে অনেকে ড্রাইভিং পেশায় কাজ করে নিজের এবং পরিবারের দারিদ্রতার দূরীকরনে সহায়ক ভূমিকা রাখছে।
পাথওয়ে ড্রাইভিং ট্রেনিং স্কুল সমাজের দরিদ্র অবহেলিত পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠির এবং তৃতীয় লিঙ্গদের বিনামূল্যে প্রশিক্ষনের পাশাপাশি ড্রাইভিং লাইসেন্স এর গভঃ ফি প্রদান করে থাকেন। এতে করে বাংলাদেশের বেকারত্ব দূরীকরনে প্রতিষ্ঠানটি সবসময় কাজ করে যাচ্ছে। পাথওয়ে ড্রাইভিং ট্রেনিং স্কুলে যেসকল কোর্স চালু আছে তা হলো পেশাদার ও অপেশাদার বেসিক ড্রাইভিং কোর্স, কর্মজীবি নারী/পুরুষদের সাপ্তাহিক কোর্স, পেশাদার চালকদের বেসিক ও রেগুলার কোর্স। প্রশিক্ষনার্থীদের ট্রেনিং মডিউল অনুযায়ী প্রশিক্ষন দেওয়া হয়। প্রশিক্ষনের মডিউল সমূহ হল- প্রাত্যহিক গাড়ীর ইঞ্জিন চেক-আপ, সিগনাল মিরর মুভ, ডানে-বামে ঘুরানো, রিভার্স ও বিভিন্ন পার্কিং বিষয়ে প্রাকটিক্যাল প্রশিক্ষন দেওয়া হয়, গাড়ী ইঞ্জিন বিষয়ে পেশাদার চালকদের হাতে কলমে প্রশিক্ষন দেওয়া হয়। একজন দক্ষ চালক নিরাপদে রাস্তায় গাড়ী চালাতে হলে অবশ্যই ট্রাফিক সাইন, রোড সাইন, রোড মার্কিং ও রোড ডিভাইডার সম্পর্কে সু-নির্দিষ্ট ধারনা থাকতে হবে। এছাড়াও স্টপিং ডিস্টেন্স, ওভার টেকিং, ওভার পাসিং সম্পর্কে সু-নির্দিষ্ট জ্ঞান থাকতে হবে। কেননা একজন দক্ষ চালকের ট্রাফিক ও যান্ত্রিক বিষয়ে সু-নির্দিষ্ট জ্ঞান থাকা জরুরী নতুবা আপনি নিজেকে দক্ষ চালক হিসেবে গড়ে তুলতে পারবেন না। পাথওয়ে ড্রাইভিং ট্রেনিং স্কুল ডিজিটাল মালটিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে সকল প্রশিক্ষনার্থীদের সপ্তাহে ২ দিন ট্রাফিক সাইন, রোড সাইন ও ইঞ্জিন বিষয়ে ধারনা দিয়ে থাকেন। সেই সাথে ছাত্র/ছাত্রীদের সাপ্তাহিক ও মাসিক মূল্যয়ন পরীক্ষা নেওয়া হয়। প্রশিক্ষন শেষে সমবর্তন প্রোগ্রামের মাধ্যমে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।
পাথওয়ে ড্রাইভিং ট্রেনিং স্কুল অন্য যে কোন ড্রাইভিং স্কুলের চেয়ে একটু ভিন্ন আঙ্গীকে প্রশিক্ষনার্থীদের মূল্যয়ন করে থাকে, সে কারনে দক্ষ চালক তৈরি করে সড়ক দূর্ঘটনা রোধে যেমন অবদান রাখছেন অন্যদিকে জাতীয় অর্থনীতিতে অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখছে। তাই পাথওয়ে ড্রাইভিং ট্রেনিং স্কুল বাংলাদেশের বেস্ট ড্রাইভিং ট্রেনিং স্কুল হিসেবে পরিচিতি লাভ করছে।আপনার আমার আমাদের সকলের জন্য একজন আদর্শবান শিক্ষিত চালক অত্যান্ত জরুরী। বাংলাদেশ অত্যান্ত জনবহুল একটি দেশ। এদেশের গণপরিবহনে লং-ড্রাইভে কিংবা সর্ট-ড্রাইভে তিল ধারনের যায়গা থাকে না। অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাইয়ের কারনে অনেক সড়ক দূর্ঘটনা ঘটে থাকে। অন্যদিকে অদক্ষ চালক দারা গাড়ী চালানো আর এইসবই হল সড়ক দূর্ঘটনার মূল কারন। সড়ক ব্যবহারের সঠিক নিয়মকানুন চালক কিংবা পথচারী আমরা কেউই মানিনা। এটাই মারাত্বক অপরাধ। একজন চালকের কারনে সড়ক দূর্ঘটনা ঘটে তেমনি পথচারীর কারনেও দূর্ঘটনা ঘটে। তাই চালক, যাত্রী ও পথচারী আমাদের সকলের সচেতন হতে হবে। পাশাপাশি চালক নিয়োগ বা বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠানের লক্ষ রাখা উচিৎ। শিক্ষিত এবং দক্ষ ড্রাইভার আপনি নিয়োগ দিচ্ছেন কিনা সর্বপরি আমাদের সচেতন হতে হবে। কারন, সড়ক দূর্ঘটনায় প্রতিনিয়ত ছাত্র, শিক্ষক, ডাক্তার,ইঞ্জিনিয়ার ও খেটে খাওয়া সাধারন শ্রমিকসহ অসংখ্য মানুষ মারা যাচ্ছে। বিনা কারনে এদের অকাতরে জীবন দিতে হচ্ছে। একজন দক্ষ চালকই পারে এসকল অনাকাঙ্খিত মৃত্যুর হাত থেকে আমাদের জীবন বাঁচাতে। পাথওয়ে ড্রাইভিং ট্রেনিং স্কুল দক্ষ চালক তৈরিতে বেস্ট ড্রাইভিং স্কুল হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। আমরা প্রতি বছর “নিরাপদ সড়ক দিবসে” পেশাদার-অপেশাদার চালকদের সমন্বয়ে এক বিশেষ কর্মশালা ও র্যালির আয়োজন করে থাকে। ঐদিন চালকদের সড়ক ব্যবহারের নিয়ম-কানুন, ট্রাফিক সাইন ও অন্যান্য নিয়মাবলি সম্পর্কে জনসচেতনতা মূলক আলোচনা করা হয়। এতে করে চালকদের দক্ষতা বৃদ্ধি পায়। পাথওয়ে ড্রাইভিং ট্রেনিং স্কুলে নিরাপদ সড়ক দিবসে চালকদের ব্যপক সমাগম ঘটে থাকে। উক্ত বিষয়টি চালকদের মনোবল বৃদ্ধিতে ও দক্ষ চালক সৃষ্টিতে প্রশংসার দাবী রাখছে। তাই আমরা দক্ষ চালক তৈরিতে শ্রেষ্ঠত্বের দাবীদার।
বর্তমান প্রতিযোগীতার বিশ্বে ড্রাইভিং পেশা গ্রহণ করে অনেক বেকার নারী/পুরুষ বেকার সমস্যা দূরীকরনের পাশপাশি নির্দিষ্ট আয়ের বাহিরে অতিরিক্ত আয়ের উৎস হিসেবে নিজেদের পছন্দ মতো বিভিন্ন রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠানের সাথে রেজিষ্ট্রেশন করে তাদের অ্যাপস ব্যবহার করে প্রচুর অর্থ উপার্জন করছে আর এতে করে সেবা গ্রহীতা ও সেবা প্রদানকারী উভয়ই উপকৃত হচ্ছেন। বর্তমান সময়ে ড্রাইভিং পেশার গুরুত্ব ও কদর বেড়েছে বহুলাংশে। তাই বেকার হয়ে কেউ ঘরে বসে না থেকে যে কেউ ড্রাইভিং পেশাকে গুরুত্ব দিয়ে আমাদের প্রতিষ্ঠান থেকে ড্রাইভিং ট্রেনিং প্রশিক্ষন গ্রহন করে আপনার নিজের এবং পরিবারে মূখে হাসি ফোটাতে পারেন খুব সহজেই। কথায় আছে- ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়। তাই আর দেরি না করে চলে আসুন ঢাকার মিরপুরের বেস্ট পাথওয়ে ড্রাইর্ভিং স্কুলে। আমাদের সাথে যোগাযোগের ঠিকানাঃ- ৪৮/৩, বিআরটিসি স্টাফ কোয়াটার মার্কেট, সেনপাড়া পর্বতা, মিরপুর-১০, ঢাকা-১২১৬।
মোবাইলঃ ০১৮৭০-৭২১১৬৩। অথবা ভিজিট করুন- https://www.pathwaybd.org/driving-school-in-dhaka