একদিকে যেমন চিকিৎসা বিজ্ঞানের অভুতপূর্ব উন্নতি হচ্ছে অন্যদিকে তেমনি নতুন নতুন রোগবালাইয়েরও সৃষ্টি হচ্ছে। বর্তমানে এমন কিছু রোগের সৃষ্টি হচ্ছে যার প্রতিষোধক এখনও চিকিৎসা বিজ্ঞান আবিস্কার করতে পারেনি। তার একটি জীবাণু বা রোগের নাম এইচআইভি বা এইডস। যেহেতু এই রোগের ঔষধ এখনও আবিস্কার হয়নি তাই এই রোগ হতে মুক্তির একমাত্র উপায় হলো সতর্কমূলক হয়ে জীবনযাপন করা। যেসকল কারনে এই রোগের সৃষ্টি হয় সেসকল বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করাই শ্রেয়। এইচআইভি / এইডস রোগ যেন না হয় তার জন্য পাথওয়ে সচেতনমূলক বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করিয়া থাকে। বিশ্ব এইডস দিবস - এ পাথওয়ে আলোচনা সভা, পথর্যা লী ও বিভিন্ন প্রামাণ্য চিত্রের মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করে থাকে। বস্তি এলাকায় বসবাসকারী মানুষ এই রোগ সম্পর্কে তেমন একটা সচেতন না সে কারনে পাথওয়ে মূলত: বস্তি এলাকার মানুষের মাঝে এই রোগ সম্পর্কে ব্যাপক সচেতনমূলক কর্মসূচী গ্রহন করে থাকে। যেহেতু অবৈধ ও অনিয়ন্ত্রিত যৌন সম্পর্কের কারনেই এই রোগের সৃষ্টি হয় বেশী তাই এই মরণব্যাধির প্রতিরোধের লক্ষ্যে ব্যাপক প্রচার ও প্রচারণার মাধ্যমে এই মরণ ব্যাধি সম্পর্কে জনমনে ব্যাপকভাবে সচেতনা বৃদ্ধি করা। তাই এইচআইভি বা এইডস ব্যাধির বিরুদ্ধে পাথওয়ে ব্যাপক সচেতনমূলক প্রচারনা কার্য পরিচালনা করিয়া থাকে।
বিজ্ঞানের এই চরম উৎকর্ষতার যুগেও মানুষ কিছু ক্ষেত্রে অত্যন্ত অসহায়। তার মধ্যে এইডস বা এইচআইভি ভাইরাসের প্রতিষেধক আবিস্কার এখনও করতে না পারা। এই রোগে আক্রান্ত মানে অনিবার্য মৃুত্য। কিন্তু এর প্রতিষেধক আবিস্কার না হওয়ায় এ রোগ থেকে আমাদের বাচাঁর একমাত্র পথ সচেতনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা। যেসব কারনে এই রোগ হয় সেই বিষয়গুলি সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করে তোলা। পাথওয়ে এই বিষয়টি অনুধাবন করে এর বিরুদ্ধে সচেতনমূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এই রোগটির অন্যতম উৎস হলো অবৈধ যৌন মিলনের মাধ্যমে এই রোগটি বিস্তার লাভ করে। আর তাই পাথওয়ে বিভিন্ন বস্তি এলাকায় দরিদ্র মানুষদেরকে সচেতন করার লক্ষ্যে ব্যাপক কর্মসূচী নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। পাথওয়ে মনে করে ধর্মীয় মূল্যবোধই পারে মানুষকে অনেকাংশে এই রোগ হতে দূরে রাখতে তাই বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে মাধ্যমে, র্যালী, লিফলেট, বিভিন্ন টিভি ও প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রচারণায় ব্যবস্থা করা, আলোচনা সভা ও পথসভা, ঘরোয়া বৈঠকের মাধ্যম এই রোগের নেতিবাচক দিক সম্পর্কে সচেতন করা হয়।