করোনা ভাইরাস কি? এটি একধরনের “আরএনএ (RNA) ভাইরাস, যার প্রথম উপসর্গ সর্দি, কাশি, জ্বর থাকে। পরবর্তীতে সরাসরি ফুসফুস ও কিডনিতে আঘাত হানে।এটিকে নোভেল করোনা বা
Covid-19 এ বলা হয়ে থাকে। গত ৩১শে ডিসেম্বর চীনের উহান শহরে প্রথম জানা যায় এই ভাইরাসের কথা। কীভাবে ছড়ায়? ১) হাঁচি কাশি, কফ-থুথু মাধ্যমে২) আক্রান্ত ব্যক্তির সরাসরি সংস্পর্শে আসলে যেমন: করমর্দন, আলিঙ্গন করা।৩) পূর্বে ধারণা করা হয়েছিল এই ভাইরাস বাতাসে ছড়ায় না কিন্তু বর্তমানে গবেষকরা বলছেন এই ভাইরাস বাতাসে ছড়ায়।.ট্যাবলেট ফেস্ক্যো ১২০ মি. গ্রাম১টা করে ২ বেশি (প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য)৫) যদি এই রকম লক্ষণ ৫/৬ দিনের বেশি থাকে তবে নিকটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগ করুন অথবা আইইডিসিএর হটলাইন নম্বরে যোগাযোগ করুন (০১৯৩৭০০০০১১, ০১৯২৭৭১১৭৮৪, ০১৯৩৭১১০০১১) অথবা মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে, কুর্মিটোলা হাসপাতালে যোগাযোগ করা যেতে পারে। আপনি নিজে কিভাবে নিরাপদ থাকবেন? ১) আক্রান্ত বা সন্দেহ জনক ব্যক্তির নিকট থেকে নিরাপদ দুরত্ব বজায় রাখুন।২) যথা সম্ভব বাসায় অবস্থান করুন।৩) একান্ত প্রয়োজন ছাড়া বাসার বাইরে বের হবেন না।৪) বাসার বাহিরে যাওয়ার সময় মাস্ক ব্যবহার করুন।৫) ঘন ঘন হাত পরিস্কার করুন, সাবান বা স্যানিটাইজার দিয়ে অন্তত ২০ সেকেন্ড।৬) যথা সম্ভব জনবহুল এরিয়ে চলুন, চোখ, মুখ, নাকে হাত দেয়া থেকে বিরত থাকুন।৭) হাচি-কাশি দেয়ার সময় টিস্যু দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে রাখুন এবং সাথে সাথে তা ঢাকনাযুক্ত পাত্রে ফেলে দিন।৮) টিস্যু না থাকলে হাচি কাশি দেয়ার সময় কনুই দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে রাখুন।৯) প্রতিবার হাঁচি কাশি দেয়ার পর হাত পরিস্কার করে ফেলুন।১০) বাহির থেকে বাসায় ফিরে হাত কনুই পর্যন্ত, মুখমন্ডল, পা ভালোভাবে পরিস্কার করুন। সম্ভব হলে গোসল করে ফেলুন। কোয়ারেন্টাইন কি? হোম কোয়ারেন্টাইন কি? আমাদের দেশের জনগনের নিকট কোয়ারেন্টাইন বিষয়টি স্পষ্ট নয়।কোয়ারেন্টাইন বিষয়টি হল, সেই সকল সুস্থ্য, ব্যক্তিদের আলাদা রাখা যারা আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে ছিল বা মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া দেশটিতে ভ্রমণ করেছে কিংবা রোগটি ছড়িয়ে পড়ার সময় সেদেশে অবস্থান করেছে। মূলত ভাইরাস আক্রান্ত হতে পারে এমন ব্যক্তিকে ১৪ দিনের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে “পাথওয়ে” কর্তৃক গৃহীত উদ্দ্যোগ সমূহঃ ১) করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করার লক্ষে রাজধানী ঢাকা ও এর আশে পাশের বেশ কয়েকটি এলাকায় পাড়া ও মহল্লা পর্যায়ে “করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জনগণের করণীয়” শূর্ষক আলোচনা সভা।২) জনগণের মাঝে সচেতনতামূলক প্লে-কার্ড, বুকলেট বিতরন।৩) রাজধানীর বেশ কয়েকটি স্কুল-কলেজে শিক্ষার্থীদের মাঝে হ্যান্ড-স্যানিটাইজার, মাস্ক বিতরণ করা হয়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য ইডেনবার্গ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজ, ফেসেস স্পেশাল নিডস স্কুল, সরকারী কমার্স কলেজ, মিরপুর বাংলা কলেজ ইত্যাদি। কখন নিজেকে করোনা ভাইরাসের বাহক হিসেবে সন্দেহ করবেন? ১) আপনি যদি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এমন ব্যক্তির সরাসরি সংস্পর্শে থাকেন।২) আপনি যদি গত ১৪ দিনের মধ্যে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত দেশে ভ্রমন করেন, যেমনঃ চীন, ইতালি, স্পেন ইত্যাদি।৩) আপনার পরিবারে যদি প্রবাসি ফেরত কোন সদস্য থাকে যিনি গত ১৪দিন আগে দেশে ফিরেছেন কিন্তু কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন না। আপনি অসুস্থ্য হলে করণীয়ঃ ১) বাসায় একটি আলাদা কক্ষে অবস্থান করুন।২) পরিবারের অন্য সদস্যদের নিকট থেকে নির্দিষ্ট দুরত্ব বজায় রাখুন। কমপক্ষে ১ মিটার বা তার বেশি।৩) ঘন ঘন হাত পরিস্কার করুন (সাবান পানি অথবা হ্যান্ডওয়াশ অন্তত ২০ সেকেন্ড)।৪) যদি জ্বর বেশি থাকে তবে: ট্যাবলেট নাপা ৫০০ মি.গ্রাম ১টা করে ৩ বেলা খাবেন। হোম কোয়ারেন্টাইন কি? করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে এমন সন্দেহজনক ব্যক্তিদের বলা হয় বাসায় অবস্থান করতে। পরিবারের অন্য সদস্যদের নিকট হতে নিজেকে ১৪ দিন আলাদা কক্ষে রাখা এবং নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে কি কি লক্ষণ দেখা দিতে পারে? সাধারণত আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে (২-১৪) দিনের মধ্যে লক্ষণ সমূহ প্রকাশ পায়।প্রথম তিন দিনঃ১) সাধারণ সর্দি, কাশি, হাল্কা গলা ব্যথা, তেমন জ্বর নেই।চতুর্থ দিনঃ১) গলা ব্যথা ১ম ৩ দিনের তুলনায় বেশি২) মাথা ঘোরা ও কিছুটা ভারসাম্যহীন হওয়া৩) শরীরের তাপমাত্রা আগের তুলনায় একটু বেশি।পঞ্চম দিনঃ১) গলা ব্যথা আগের তুলনায় একটু বেশি২) জ্বর, মাঝে মাঝে শ্বাসকষ্ঠ হওয়াষষ্ঠ দিনঃ১) তীব্র জ্বর, শুকনা কাশি, শ্বাসকষ্ঠ, বমিম ডায়রিয়া।সপ্তম দিনঃ১) তীব্র জ্বর, কফ সহ কাশি, মাথা ব্যথা, শরীর ব্যথা।অষ্টম দিনঃ১) জ্বরের মাথা অনেক বৃদ্ধি পাওয়া২) শ্বাসকষ্ট, বিরতিহীণ কাশি৩) মাথা ব্যথা, জয়েন্ট ব্যথা, মাংশ পেশিতে ব্যথা।নবম দিনঃ১) আগের সকল সিম্পটম থাকবে তবে সেগুলো মারাত্মক আকারে ধারণ করবে