“শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড”-এই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে পাথওয়ে তার শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। আর এই কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে বয়স্ক শিক্ষা, নৈশ বিদ্যালয়, গণশিক্ষা। নিম্ন আয়ের মানুষদের মাঝে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিতে পাথওয়ে বস্তি বা নিম্ন আয়ের লোকজন বসবাস করে এমন এলাকায় শিক্ষা বিস্তারে পাথওয়ে নিরক্ষর ও অক্ষর জ্ঞানহীন লোকদের মাঝে বয়স্ক শিক্ষা, নৈশ বিদ্যালয় কিংবা গণশিক্ষার মাধ্যমে পাথওয়ে তার শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। পাথওয়ে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে শিক্ষা ছাড়া একটা জাতি কখনও মাথা উচু করে দাড়াতে পারে না। শিক্ষিত ব্যক্তি কখনও অন্যের মুখাপেক্ষি হয় না, তার মধ্যে আত্মমর্যাদাবোধ জাগ্রত হয়। ফলে সে অন্যের বোঝা হয়ে নয় বরং সে নিজের, পরিবারের, সমাজের এবং সর্বোপরি রাষ্ট্রের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে সর্বাত্মক চেষ্টা করে। লক্ষ্য করলে দেখা যায় বিশ্বে যে জাতি যত শিক্ষিত সেই জাতি তত উন্নত ও মর্যাদাশীল। এই কারনে পাথওয়ে তার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে শিক্ষা বিস্তারকে সর্বাধিক গুরুত্ব প্রদান করেছে। শিক্ষা ব্যতিত কোন জাতি মাথা উচু করে দাড়াতে পারে না। একজন মানুষ শিক্ষিত হলে সে আর রাষ্ট্র পরিবার বা অন্যের উপর নির্ভরশীল থাকে না, আত্মমর্যাদাবোধের কারনে সে নিজেই একটা কিছু করে থাকে এই বাস্তবতার কারনেই পাথওয়ে তার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের মধ্যে শিক্ষা বিস্তারকে সর্বাধিক গুরুত্ব প্রদান করেছে। আর এ লক্ষ্যে বস্তি এলাকার দরিদ্র মানুষের সন্তানদের অন্তত প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া মেধাবী কোন দরিদ্র ঘরের সন্তানের উচ্চ শিক্ষার প্রয়োজনে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করে থাকে। প্রতি বৎসর মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে বৃত্তি প্রদান করে থাকে। পাথওয়ে প্রয়োজনে কোন মেধাবী শিক্ষার্থীর উচ্চ শিক্ষার জন্য বিদেশেও প্রেরণ করার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করে থাকে। তাছাড়া বয়স্কদের জন্য পাথওয়ের “বয়স্ক শিক্ষা” কর্মসূচী দেশেব্যাপী চলমান রয়েছে।