করোনা ভাইরাসে মানবজাতি এক বৈশ্বিক সংকট মোকাবেলা করছে। মানবজাতির ইতিহাসে এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি মানুষকে পড়তে হয়নি। করোনা বিশ্বব্যাপী একধরনের
ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে চলেছে। যেখানে গাছের পাতার মত এক এক করে ঝড়ে পড়ছে মনুষ্য প্রাণ। সমস্ত বিশ্ব এই ভাইরাসের তান্ডবলীলা অসহায়ের মত অবলোকন করছে। ইতিমধ্যেই কয়েক লক্ষ মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে এই ভাইরাস আর এই ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। বিশ্বের অনেক দেশের মত বাংলাদেশেও আঘাত হেনেছে এই ভাইরাসের ভয়ংকর তান্ডবলীলা। প্রতিদিনই নতুন নতুন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, সেই সাথে বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল। জনগণের সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে সরকার মৃত লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর না করে সরকারী ভাবে দাফন করা হচ্ছে। সরকারের উদ্যোগে এই দাফন কার্যক্রমে অনেক সময় মৃত ব্যক্তির আত্মীয়-স্বজন লাশ দেখার ও জানাযায় অংশগ্রহনের সুযোগ হতে বঞ্চিত হয় মুলত: পর্যাপ্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহন করার কারনে। এছাড়া অনেক সময় মৃত ব্যক্তির লোকজন ভয়ে লাশ কোন আত্মীয়-স্বজন গ্রহন করেনা। সেক্ষেত্রে দেশের অন্যতম বৃহৎ বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা ‘পাথওয়ে’ এবিষয়ে শুরু থেকেই কাজ করে যাচ্ছে এবং মানবতার এক বিরল নজির স্থাপন করে চলেছে। সংস্থাটি ইতিমধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত ব্যক্তির লাশ দাফনের জন্য একাধিক টিম গঠন করেছে। মৃত ব্যক্তির আত্মীয়-স্বজনের নির্ধারিত স্থানে অথবা তাদের সাথে পরামর্শ করে স্থানীয় কোন কবরস্থানে পাথওয়ে লাশ দাফরের ব্যবস্থা করে থাকে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে এমন সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথে লাশ গ্রহন করে লাশের গোসল, জানাযা ও দাফনসহ সম্পূর্ণ ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা সম্পন্ন করে থাকে পাথওয়ের টিম। এখানে উল্লেখ্য যে, সনাতন হিন্দু ধর্মের কেউ মারা গেলেও পাথওয়ের উদ্যোগে ঢাকার পোস্তগোলায় অবস্থিত শ্মশানে নিয়ে সৎকারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করে থাকে। এছাড়া করোনা রোগীদের হাসপাতালে আনা-নেওয়ার যাবতীয় কাজ গুলি পাথওয়ে করে যাচ্ছে। জীবনের ঝুকি নিয়ে পাথওয়ের কর্মীবৃন্দ অতি দ্রæততার সাথে করোনা রোগীদের বিনামূল্যে পরিবহন সুবিধা দিয়ে আসছে। এছাড়া বর্তমানে এই করোনার ভয়াবহ সংকটের মাঝেও করোনা রোগীদের পাশাপাশি গর্ভধারী মহিলাদের হাসপাতালে আনা-নেওয়ার মত জরুরী সেবা পাথওয়ের পক্ষ থেকে প্রদান করা হচ্ছে।