পাথওয়ে

নিউজ & ইভেন্টস

মাদকবিরোধী কার্যক্রম

বর্তমানে বাংলাদেশ মাদকের ট্রানজিট পয়েন্ট হিসাবে ব্যবহার হচ্ছে।

যৌনকর্মীদের পুনর্বাসন সংক্রান্ত কর্মসূচী

দারিদ্রতার কারনে, পারিবারিক অশান্তি কিংবা অশুভ দালালচক্রের খপ্পরে পরে অনেক সহজসরল মেয়েরা যৌনকর্মীতে পরিণত হয়ে তাদের জীবনের সর্বোস্ব হারাচ্ছে। পরবর্তীতে সমাজ তাদেরকে আর ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখে না। তাদের শেষ জীবন কাঠে অত্যন্ত অসহনীয় কষ্টে। নাগরিক দায়িত্ব ও মানসিক দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে তাদেরকে পূনর্বাসনের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহন করেছে পাথওয়ে। এই অনৈতিক পেশার নেতিবাচক দিক গুলো তুলে ধরে এর বিরুদ্ধে তাদেরকে সচেতন করা হচ্ছে এবং বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে তাদেরকে স্বাবলম্বি হিসাবে গড়ে তোলা হচ্ছে। তাদের সন্তানদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, চিকিৎসাসহ বিভিন্ন সহযোগিতার হাত প্রসারিত করে পূণর্বাসনের মাধ্যমে তাদেরকে মুল স্রোতধারায় ফিরিয়ে নিয়ে আসার ঐকান্তিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পাথওয়ে।

তৃতীয় লিঙ্গ ও বেদে সম্প্রদায়দের নিয়ে কর্মসূচী

তৃতীয় লিঙ্গ ও বেদে সম্প্রদায়দের নিয়ে পাথওয়ে বিভিন্ন পূনর্বাসনমূলক কাজ করে যাচ্ছে। জীবিকা নির্বাহের জন্য এরা রাস্তা-ঘাটে কিংবা দোকান বা মার্কেট হতে চাদা আদায় করে থাকে। এতে অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের অনাকাংখিত পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এছাড়া এদেরকে অনেকের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গী দিয়ে দেখে থাকে। তাদের পূনর্বাসনের মাধ্যমে মূল স্রোতধারায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে পাথওয়ে তাদেরকে শিক্ষা ও ড্রাইভং প্রশিক্ষনসহ বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ প্রদান করে আত্মকর্মসংস্থানের মাধ্যমে তাদেরকে স্বাবলম্বি করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পাথওয়ে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে হিজড়াও আমাদের সমাজ বা রাষ্ট্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে যদি তাদের যোগ্য করে গড়ে তোলা যায়। এই আত্মবিশ্বাস থেকেই পাথওয়ে তাদেরকে নিয়ে পূনর্বাসনমূলক বিভিন্ন কাজ করে চলেছে।

দেশে তৃতীয় লিঙ্গ ও বেদে সম্পদায়ের সংখ্যা ৫ লক্ষ। এই বিশাল জনগোষ্টিকে মুলজন¯্রােতের সাথে দেশের উন্নয়ন কর্মকান্ডের সহিত সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে পাথওয়ে বিভিন্ন কর্মসচী নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। বিশেষ করে তৃতীয় লিঙ্গের লোকদেরকে পাথওয়ের উদ্যোগে বিনামূল্যে অটোমাবাইল ড্রাইভিং প্রশিক্ষনসহ হস্তচালিত বিভিন্ন কুটির শিল্পের কাজ ও বিউটিশিয়ান কাজে সম্পৃক্ত করে চলেছে। সামাজিক ভাবে এই তৃতীয় লিঙ্গের লোকদের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গীতে দেখা হয়। সাধারণ মানুষের এই নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গীর পরিবর্তনের জন্যও পাথওয়ে বিভিন্ন প্রচার-প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া বেদে সম্প্রদায়কে তাদের সনাতনী ধ্যান-ধারণা ও কুসংস্কারাচ্ছন্ন দৃষ্টিভঙ্গী থেকে ফিরিয়ে নিয়ে আসার জন্য তাদেরকে বিভিন্ন কর্মশালার মাধ্যমে দৃষ্টিভঙ্গীর পরিবর্তন ঘটানো হচ্ছে। তাদেরকে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে এবং তাদের সন্তানদের শিক্ষার আলোয় আলোকিত মানুষ হওয়ার জন্য বিনামূল্যে শিক্ষা উপকরণসহ সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে। 

পুনর্বাসন কর্মসূচী

পাথওয়ে দুই প্রকারের পূনর্বাসন কার্যক্রম পরিচালনা করিয়া থাকে। প্রথমত: আপদকালীন সময়ে পূনর্বাসন কর্মসূচী যেমন: বাংলাদেশ বিশ্বের একটি অন্যতম প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রবণ দেশ। বন্যা, টর্ণেডো, জলোচ্ছাস সহ বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতি দুর্যোগ প্রায় প্রতি বছরই এখানে দেখা দেয়। এতে লক্ষ লক্ষ মানুষ তাদের সহায়-সম্পদ হারিয়ে নি:শ্ব হয়ে পরে। তাদের সেই নি:শ্ব অবস্থা হতে মাথা উচু করে বাচাঁর নতুন প্রেরণ নিয়ে হাজির হয় পাথওয়ে। তাদেরকে ঘর-বাড়ি তৈরী করা থেকে শুরু করে গৃহপালিত পশু প্রদান করা এবং সহজ শর্তে ঋণ কিংবা অনুদানের মাধ্যমে তাদের মধ্যে নতুন আশার সঞ্চায় করে বেসরকারী উন্নয়ণ সংস্থা পাথওয়ে। আর এভাবেই আজ দেশব্যাপী পাথওয়ে অসহায় ও দরিদ্র মানুষের আমার প্রতিক হয়ে দাড়িয়েছে। দ্বিতীয়ত মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের মাদকের ছোবল হতে রক্ষা করতে তাদেরকে চিকিৎসা দিয়ে, পরামর্শ দিয়ে এই মরণ নেশা হতে তাদেরকে সুস্থ স্বাভাবিক জীবেন ফিরিয়ে নিয়ে আসে পাথওয়ে। একটি পরিবার ধ্বংসের জন্য ঐ পরিবারে একজন মাদকাসক্তই যথেষ্ট। তাই এই ধ্বংসাক্তক নেশা হতে তাদেরকে ফিরে আনতে পাথওয়ে ব্যাপক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

বেকারত্ব দূরীকরণ কর্মসূচী

বেকারত্ব কেবলমাত্র সমস্যা নয়, এটা নিজের, পরিবার ও রাষ্ট্রের জন্য অভিশাপ স্বরূপ। সমাজে বেকারত্বের অভিশাপ হতে মানুষকে মুক্তি দিতে পাথওয়ে দেশব্যাপী ব্যাপক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। নিম্ন আয়ের অসহায় দরিদ্র পরিবারের আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে ঐ সকল পরিবারের ছেলে মেয়েদেরকে বিভিন্ন বিষয়ে বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ প্রদান করে তাদেরকে বিভিন্ন আত্মকর্মসংস্থানমূলক কাজে নিয়োজিত করে যাচ্ছে দেশের অন্যতম বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা পাথওয়ে। বিনামূল্যে প্রশিক্ষনের পাশাপাশি পাথওয়ে প্রশিক্ষন শেষে প্রয়োজনে সহজ শর্তে ঋণ প্রদান করে থাকে। বেকারত্ব থেকেই সমাজে নানা ধরণের অস্তিরতা তৈরী হয়, এছাড়া একটি পরিবারে একজন বেকার থাকলে ঐ পরিবারে সঞ্চয়ের পরিমান কম থাকে আর সঞ্চয় কম হলে ব্যক্তি বা রাষ্ট্রে মূলধন গঠনে অন্তরায় হয়ে দেখা দেয় সুতরাং লক্ষ্য করা যাচ্ছে বেকারত্বের কারনে দেশ উন্নয়নের অগ্রযাত্রার বাধাগ্রস্থ হয় এই কারনে পাথওয়ে দরিদ্র জনগোষ্টির জন্য বেকারত্ব নির্মূলে ব্যাপক কর্মসূচী নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।

দেশের বর্তমানে প্রায় ৩ কোটি লোক বেকার জীবনযাপন করছে। এছাড়া প্রতি বৎসর প্রায় এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার লোক এই বেকারত্বের সাথে নতুন করে যোগ হচ্ছে। এই বিশাল জনগোষ্টিকে বেকার রেখে দেশের উন্নয়ন কখনই সম্ভব নয়। তাই পাথওয়ে বিশেষ করে দরিদ্র পরিবারের ছেলেমেয়েদের শিক্ষা বিস্তারে সহায়তার পাশাপাশি তাদেরকে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করে দেশে-বিদেশে চাকুরীর ব্যবস্থা করে থাকে এছাড়া প্রয়োজনে তাদেরকে সহজ শর্তে ঋণ প্রদান করে তাদের বেকারত্বের অভিশাপ হতে তাদেরকে মুক্ত করা হয়। বর্তমানে পাথওয়ে হতে সহায়তা গ্রহন করে হাজার হাজার গ্রামীণ দরিদ্র পরিবারের বেকার ছেলেমেয়ে কৃষিভিত্তিক প্রকল্প গ্রহন করে আত্মনির্ভশীল হচ্ছে। পাথওয়ে মনে করে কৃষি ভিত্তিক বাংলাদেশের বেকার জনগোষ্টিকে শিল্প কারখানার পাশাপাশি কৃষিতে সম্পৃক্ত করতে পারলেই বেকারত্ব অনেকাংশে করা সম্ভব হচ্ছে। আর কৃষির উন্নতির সাথে সাথে শিল্পেরও উন্নতি ঘটবে কেননা শিল্পের কাচামাল অনেকাংশে কৃষি হতেই আসে।

নারীকল্যাণ কর্মসূচী

যেখানে দেশের ১৬ কোটি জনগোষ্ঠির অর্ধেকই নারী আর সেই বিপুল সংখ্যক নারীকে উন্নয়ন কার্যক্রম হতে বঞ্চিত রেখে একটা দেশ কখনও এগিয়ে যেতে পারে না। আর এই বিপুল নারীদের মধ্যে অধিকাংশই দারিদ্রতার মধ্যে বসবাস করে। নিম্ন আয়ের হতদরিদ্র এই সকল নারীদের কল্যাণে পাথওয়ে বিভিন্ন উন্নয়ণ কর্মসূচী পরিচালনা করে আসছে। এই কর্মসূচীর মধ্যে নারীদের স্বাস্থ্য, চিকিৎসা, শিক্ষা এবং মৃাত্বকালীন সেবা প্রদান তাদের আয় বৃদ্ধি ও মূলধন গঠনে সহায়তা প্রদানসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করে আসছে পাথওয়ে। এছাড়াও মহিলাদের স্বাবলম্বি হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে তাদেরকে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষন প্রদান করে তাদেরকে আত্মকর্মসংস্থানের পথ তৈরী করা হচ্ছে পাশাপাশি তাদের উৎপাদিত পণ্যের বাজারজাতকরণে সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে। পাথওয়ে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে একটা শিক্ষিত ও স্বাস্থ্যবান মা-ই পারে একটি শিক্ষিত ও স্বাস্থ্যবান জাতি উপহার দিতে। পরিবারে সন্তানদের লালন-পালনের পাশাপাশি নারী সমাজ যাতে নিজের, পরিবারের এবং রাষ্ট্রের উন্নয়নে ভূমিকা পালন করতে পারে তার জন্য পাথওয়ে বিভিন্ন কর্মসূচী নিয়ে নারী কল্যানে কাজ করে যাচ্ছে। নারীদেরকে উদ্যোক্ত শ্রেণিতে পরিণত ও পুজি গঠনের লক্ষ্যে তাদেরকে যৌথ আয়মূলক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত করে নারী উদ্যোক্তা হিসাবে তাদেরকে প্রতিষ্ঠিত করার কর্মসূচী পাথওয়ে করে যাচ্ছে।

এইচ.আই.ভি / এইডস্

একদিকে যেমন চিকিৎসা বিজ্ঞানের অভুতপূর্ব উন্নতি হচ্ছে অন্যদিকে তেমনি নতুন নতুন রোগবালাইয়েরও সৃষ্টি হচ্ছে। বর্তমানে এমন কিছু রোগের সৃষ্টি হচ্ছে যার প্রতিষোধক এখনও চিকিৎসা বিজ্ঞান আবিস্কার করতে পারেনি। তার একটি জীবাণু বা রোগের নাম এইচআইভি বা এইডস। যেহেতু এই রোগের ঔষধ এখনও আবিস্কার হয়নি তাই এই রোগ হতে মুক্তির একমাত্র উপায় হলো সতর্কমূলক হয়ে জীবনযাপন করা। যেসকল কারনে এই রোগের সৃষ্টি হয় সেসকল বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করাই শ্রেয়। এইচআইভি / এইডস রোগ যেন না হয় তার জন্য পাথওয়ে সচেতনমূলক বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করিয়া থাকে। বিশ্ব এইডস দিবস - এ পাথওয়ে আলোচনা সভা, পথর্যা লী ও বিভিন্ন প্রামাণ্য চিত্রের মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করে থাকে। বস্তি এলাকায় বসবাসকারী মানুষ এই রোগ সম্পর্কে তেমন একটা সচেতন না সে কারনে পাথওয়ে মূলত: বস্তি এলাকার মানুষের মাঝে এই রোগ সম্পর্কে ব্যাপক সচেতনমূলক কর্মসূচী গ্রহন করে থাকে। যেহেতু অবৈধ ও অনিয়ন্ত্রিত যৌন সম্পর্কের কারনেই এই রোগের সৃষ্টি হয় বেশী তাই এই মরণব্যাধির প্রতিরোধের লক্ষ্যে ব্যাপক প্রচার ও প্রচারণার মাধ্যমে এই মরণ ব্যাধি সম্পর্কে জনমনে ব্যাপকভাবে সচেতনা বৃদ্ধি করা। তাই এইচআইভি বা এইডস ব্যাধির বিরুদ্ধে পাথওয়ে ব্যাপক সচেতনমূলক প্রচারনা কার্য পরিচালনা করিয়া থাকে।

বিজ্ঞানের এই চরম উৎকর্ষতার যুগেও মানুষ কিছু ক্ষেত্রে অত্যন্ত অসহায়। তার মধ্যে এইডস বা এইচআইভি ভাইরাসের প্রতিষেধক আবিস্কার এখনও করতে না পারা। এই রোগে আক্রান্ত মানে অনিবার্য মৃুত্য। কিন্তু এর প্রতিষেধক আবিস্কার না হওয়ায় এ রোগ থেকে আমাদের বাচাঁর একমাত্র পথ সচেতনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা। যেসব কারনে এই রোগ হয় সেই বিষয়গুলি সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করে তোলা। পাথওয়ে এই বিষয়টি অনুধাবন করে এর বিরুদ্ধে সচেতনমূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এই রোগটির অন্যতম উৎস হলো অবৈধ যৌন মিলনের মাধ্যমে এই রোগটি বিস্তার লাভ করে। আর তাই পাথওয়ে বিভিন্ন বস্তি এলাকায় দরিদ্র মানুষদেরকে সচেতন করার লক্ষ্যে ব্যাপক কর্মসূচী নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। পাথওয়ে মনে করে ধর্মীয় মূল্যবোধই পারে মানুষকে অনেকাংশে এই রোগ হতে দূরে রাখতে তাই বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে মাধ্যমে, র‌্যালী, লিফলেট, বিভিন্ন টিভি ও প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রচারণায় ব্যবস্থা করা, আলোচনা সভা ও পথসভা, ঘরোয়া বৈঠকের মাধ্যম এই রোগের নেতিবাচক দিক সম্পর্কে সচেতন করা হয়।

শিক্ষা ব্যবস্থাপনা

“শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড”-এই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে পাথওয়ে তার শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। আর এই কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে বয়স্ক শিক্ষা, নৈশ বিদ্যালয়, গণশিক্ষা। নিম্ন আয়ের মানুষদের মাঝে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিতে পাথওয়ে বস্তি বা নিম্ন আয়ের লোকজন বসবাস করে এমন এলাকায় শিক্ষা বিস্তারে পাথওয়ে নিরক্ষর ও অক্ষর জ্ঞানহীন লোকদের মাঝে বয়স্ক শিক্ষা, নৈশ বিদ্যালয় কিংবা গণশিক্ষার মাধ্যমে পাথওয়ে তার শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। পাথওয়ে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে শিক্ষা ছাড়া একটা জাতি কখনও মাথা উচু করে দাড়াতে পারে না। শিক্ষিত ব্যক্তি কখনও অন্যের মুখাপেক্ষি হয় না, তার মধ্যে আত্মমর্যাদাবোধ জাগ্রত হয়। ফলে সে অন্যের বোঝা হয়ে নয় বরং সে নিজের, পরিবারের, সমাজের এবং সর্বোপরি রাষ্ট্রের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে সর্বাত্মক চেষ্টা করে। লক্ষ্য করলে দেখা যায় বিশ্বে যে জাতি যত শিক্ষিত সেই জাতি তত উন্নত ও মর্যাদাশীল। এই কারনে পাথওয়ে তার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে শিক্ষা বিস্তারকে সর্বাধিক গুরুত্ব প্রদান করেছে। শিক্ষা ব্যতিত কোন জাতি মাথা উচু করে দাড়াতে পারে না। একজন মানুষ শিক্ষিত হলে সে আর রাষ্ট্র পরিবার বা অন্যের উপর নির্ভরশীল থাকে না, আত্মমর্যাদাবোধের কারনে সে নিজেই একটা কিছু করে থাকে এই বাস্তবতার কারনেই পাথওয়ে তার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের মধ্যে শিক্ষা বিস্তারকে সর্বাধিক গুরুত্ব প্রদান করেছে। আর এ লক্ষ্যে বস্তি এলাকার দরিদ্র মানুষের সন্তানদের অন্তত প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া মেধাবী কোন দরিদ্র ঘরের সন্তানের উচ্চ শিক্ষার প্রয়োজনে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করে থাকে। প্রতি বৎসর মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে বৃত্তি প্রদান করে থাকে। পাথওয়ে প্রয়োজনে কোন মেধাবী শিক্ষার্থীর উচ্চ শিক্ষার জন্য বিদেশেও প্রেরণ করার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করে থাকে। তাছাড়া বয়স্কদের জন্য পাথওয়ের “বয়স্ক শিক্ষা” কর্মসূচী দেশেব্যাপী চলমান রয়েছে।

পাথওয়ে সম্পর্কিত

পাথওয়ে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা দাতব্য, অলাভজনক এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। এর প্রধান কার্যালয় ঢাকার মিরপুরে। বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ অসহায় মানুষের পাশে সর্বদাই পথচলা। প্রধানত পাথওয়ে বাংলাদেশে শিশু, নারী এবং তৃতীয় লিঙ্গ উন্নয়নে নিবেদিত একটি মানবিক সংস্থা। পাথওয়ে এনজিও অ্যাফেয়ার্স ব্যুরো বাংলাদেশ কর্তৃক অনুমোদিত এবং তালিকাভুক্ত। রেজিস্ট্রেশন নম্বর: 0778

অফিস সময় তালিকা

শনিবার     ১০ টা হইতে ৬ টা
রবিবার     ১০ টা হইতে ৬ টা
সোমবার     ১০ টা হইতে ৬ টা
মঙ্গলবার     ১০ টা হইতে ৬ টা
বুধবার     ১০ টা হইতে ৬ টা
বৃহস্পতিবার     ১০ টা হইতে ৬ টা
শুক্রবার     বন্ধ

ছুটির তালিকা

অফিসের ঠিকানা

বাড়ি ০২, রাস্তা ০৬, সেনপাড়া পর্বতা, কাফরুল,
মিরপুর, ঢাকা -১২১৬, বাংলাদেশ
ফোনঃ +৮৮ ০২ ৫৮০৫৩৭৪৩
মোবাইলঃ +৮৮ ০১৩২১ ২৩২৯৮২
ই-মেইলঃ info@pathwaybd.org
ওয়েব: www.pathwaybd.org
ওয়েব: www.ajkerprosongo.com

নিচে উল্লেখিত লিংকে আমাদেরকে অনুস্মরণ করুন

Search