প্রতি বছরের ন্যায় এবারও "পাথওয়ে" থাকছে শীতার্থ মানুষের পাশে। কমপক্ষে ১০ টাকা দিয়ে হলেও আপনিও পাশে থাকুন। পাথওয়ে তে ডোনেট করা এখন অনেক সহজ। অনলাইনে অনুদানের জন্য ভিজিট করুনঃ
সবার সুবিধার্থে ডোনেট করার প্রক্রিয়া ভিডিওতে দেখানো হয়েছে।
ঋতুচক্রের স্বাভাবিক নিয়মে প্রকৃতিতে এখন শীতের রাজত্ব। জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবে দেশের উত্তর ও পার্বত্যাঞ্চলে শীতের মাত্রাও বেশি এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রাকৃতিক দুর্যোগের নতুন মাত্রা যোগ করেছে শৈত্যপ্রবাহ। অন্যদিকে, ভয়াবহ ত্রাস করোনার সংক্রমণ তো আছেই। সব মিলিয়ে তীব্র শীতে অজস্র হতদরিদ্র এবং কয়েক লাখ ছিন্নমূল মানুষের অবস্থা বেশ নাজুক। গ্রামগঞ্জে শীতবস্ত্রহীন মানুষগুলো বড় কষ্ট করে অতিবাহিত করে শীতার্ত প্রহর। শীত গরীবের কাছে অত্যন্ত দুর্ভোগ ও বিড়ম্বনার। ঠাণ্ডায় প্রাণহানিও শীতকালের নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। শীতের আগমন যেন গরিবের জন্য অভিশাপ। শীত আসার সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে যায় এসব মানুষের বেঁচে থাকার সংগ্রাম। একটি কাঁথা কিংবা কম্বল দিয়ে শীত নিবারণ করা যেন তাদের কাছে অনেক কিছু। ঢাকাসহ দেশের বেশিরভাগ শহরের ফুটপাতগুলোতে বেড়ে যাচ্ছে ঠিকানাবিহীন এসব অসহায় মানুষের সংখ্যা। শীতকাল আবার কারো কারো জন্য আনন্দেরও বিষয়। শীত মানেই কুয়াশা-মোড়ানো ভোরে চুলোর পাশে বসে পিঠা খাওয়া।
ঝরা পাতা জড়ো করে জ্বালিয়ে আগুন তাপানো। গল্পের আসরে বসে ধূমায়িত চা-কফির উষ্ণ স্বাদ। দীর্ঘ রাতে লেপ-কম্বলের ওম লাভের আনন্দ। কিন্তু যাদের নুন আনতে পান্তা ফুরোয় তাদের জন্য শীত মানে ভয়াবহ দুঃসংবাদ। দেশের উত্তরাঞ্চলসহ বিভিন্ন জেলায় কয়েক দিন ধরে তীব্র শীত পড়ছে। কনকনে ঠাণ্ডার মধ্যে কাজে যেতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন দিনমজুর, রিকশা-ভ্যানচালক ও শ্রমিকরা। গরম কাপড়ের অভাবে দুর্ভোগে পড়েছে দুস্থ মানুষ। শীতের প্রকোপ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এক টুকরো শীতের কাপড় তাদের জন্য যেন শত আরাধনার ধন। দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলের অনেক মানুষের প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্রও নেই শীতের প্রকোপ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য।
শীতের তীব্রতাকে উপেক্ষা করার জন্য আমরা রকমারি শীত বস্ত্র পরিধান করি। কিন্তু আপনি যে পথ দিয়ে প্রতিনিয়ত চলাচল করছেন সেই পথে বসবাসরত মানুষগুলোর দিকে কি একটু খেয়াল করেছেন? হয়তো ব্যস্ততার মাঝে খেয়াল করা হয়ে উঠে না। চলার পথে একটু থেমে, খেয়াল করুন তাদের দিকে। দেখতে পাবেন যে, শীতের তীব্রতাকে উপেক্ষা করার জন্য তাদের কেউ কেউ একটি চটের বস্তা গায়ে দিয়ে শুয়ে রাত কাটানোর প্রহর গুনছে, কেউ আবার একটি পলিথিন ব্যাগকে আশ্রয় করে শুয়ে আছে, আবার কেউ শীতের তীব্রতাকে মেনে নিয়েই কাঁপতে কাঁপতে ঘুমিয়ে পড়েছে, কেউ আবার শুকনো খড়কুটো দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে তাপ পোহাচ্ছে আর অপেক্ষা করছে উত্তপ্ত রবির আলোর জন্য, যা তাদের জন্য একটু উষ্ণতা বয়ে নিয়ে আসবে। সময় এখন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবার। আসুন একবার অসহায় মানুষের কথা ভাবি এবং সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেই। একটি কাপড় দিয়ে হলেও শীতার্তের পাশে দাঁড়ান। নিঃস্বার্থভাবে বিপদগ্রস্ত মানুষের সাহায্য ও সেবা করা মহৎ ও পুণ্যময় কাজ। আমাদের দেশের খোদ রাজধানীতেই এরকম হলে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোর কী অবস্থা একবার কল্পনা করুন। আপনাদের একটি মোটা কাপড় কোনো অসহায় দরিদ্র মানুষকে দিলে আপনার কিছুই কমে যাবে না। বরং আপনি তাকে দিবেন শীতে কষ্ট না পাওয়ার প্রতিশ্রুতি, বিনিময়ে ওই মানুষটি দেবে তার হৃদয়ের উষ্ণতা। আর সেই উপলব্ধি থেকে প্রতিবছরের ন্যায় #পাথওয়ে (একটি অলাভজনক দাতব্য, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা) শীত বস্ত্র বিতরণের উদ্যোগ হাতে নিচ্ছে। এই কার্যক্রমকে সফল করার জন্য সকলের আন্তরিকতা এবং একাগ্রতা শীতবস্ত্র বিতরণের কার্যক্রমকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে।
আমাদের যাদের পুরনো গরম কাপড়, সোয়েটার, জ্যাকেট, কম্বল, চাদর রয়েছে সেগুলো দিয়েও আমরা সহায়তা করতে পারি। এছাড়াও আর্থিক সহায়তা প্রদান করে শীতবস্ত্র বিতরণের কার্যক্রমকে আরও সহজ করে তুলবে এবং আপনার/আপনাদের আর্থিক সাহায্য অথবা প্রত্যক্ষ/পরোক্ষ অংশগ্রহণের মাধ্যমে এই মানবিক কাজকে সফল করবে।
অনুদানের জন্য যোগাযোগঃ
পাথওয়ে
ঠিকানাঃ বাসা- ০২, রোড- ০৬, সেনপারা পর্বতা, কাফরুল, মিরপুর, ঢাকা -১২১৬
এছাড়াও আপনি সরাসরি ব্যাংক বা মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্টেও অনুদান পাঠাতে পারেন।
মোবাইল ব্যাংকিং-
bKash (Personal): 01777162619
Nagad (Merchant): 01870721160
Rocket (Agent): 01870721160.7
.........................
ব্যাংক একাউন্ট-
A/C Name: PATHWAY
A/C No: 140 181 443 0001
Swift Code: CIBL BDDH
Routing Number: 225263585
Bank Name: The City Bank Ltd.
Branch: Pallabi, Mirpur, Dhaka-1216
................................
পরিশেষে বলতে চাই, বেশি নয়, শুধু আপনার এক দিনের হাত খরচটুকু বৃদ্ধ/বৃদ্ধা মা/বাবাকে উপহার দিন। সাময়িক হলেও অন্তত এক বিন্দু হাসিতো আমরা ফুটাতে পারব তাদের মুখে। মনে রাখবেন, মানুষ তো মানুষেরই জন্য। আসুন, আমরা দেশের শীতার্ত মানুষকে বাঁচানোর জন্য এগিয়ে আসি। একটি কাপড় দিয়ে একটি শিশু কিংবা একজন বৃদ্ধকে রক্ষা করি। সবার প্রতি আন্তরিক অনুরোধ এই শীতে দরিদ্র অসহায়দের শীতবস্ত্র বিতরণ করে মানবিক মূল্যবোধের পরিস্ফুটন ঘটাতে এগিয়ে আসুন।